36th BCS Solution
Solution of Dhaka University(DU) B-unit Admission test question-2015
লাঞ্ছিত শিক্ষা ও বাংলাদেশ
এদেশে পুলিশ কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা লাঞ্ছিত হয়; গুলি,লাঠি,পিপার স্প্রে এসবই হজম করতে হয়!!
তেলবাজি,চাপাবাজি আরো অজস্র অপরাধ করে পলিটিকাল নেতারা মন্ত্রী হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের করে অসম্মান।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭(৪) ধারা বাতিলের আন্দোলনে যখন পুলিশের চোখ রাঙানি আর নির্যাতন সহ্য করেছিলাম,চোখের সামনে যেদিন বন্ধুদের শরীরে পুলিশের লাঠির সংযোগ দেখেছিলাম;সেদিনই আমি আমার পরিচয় বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ভাবতে লজ্জা ঘৃণা আর ক্রোধে রক্তাক্ত হয়েছিলাম।আমি জানি আজও আমাদেরর মত লজ্জায় আর ক্রোধে রক্তাক্ত গোটা শিক্ষার্থী সমাজ।অবস্থা যেহেতু পরিবর্তন আপাতত অসম্ভব,সুতরাং অতীত ও বর্তমানের মত ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষার্থীরাও একই লজ্জায় লজ্জিত হতে থাকবে,ক্রোধে চোখ লাল হতে থাকবে,রক্তাক্ত হতে থাকবে বাংলাদেশের শিক্ষা,শিক্ষক আর শিক্ষার্থী।এদেশ পরিচালনায় যতদিন শিক্ষা আর জ্ঞানের সঠিক মুল্যয়নকারী না আসবে; ততদিন লজ্জা পাবেন,রক্তাক্ত হবেন;আমি,আপনি সকলেই!
সে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়েরই হোন বা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েরই হোন।
বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার রক্তাক্ত পথ।
শান্তিনগর চৌরাস্তায় “উচ্চশিক্ষায় ভ্যাট দেবনা” আন্দোলন চলছে।
শিক্ষার্থীরা তাদের পড়ার টেবিল,ভার্সিটির লাইব্রেরী,ল্যাবরেটরি সব ছেড়ে তপ্ত রাস্তায় এসে একটি বলয় তৈরি করেছে।
এ বলয়, এদেশ শিক্ষাবান্ধব নয় এবং উচ্চশিক্ষায় পদে পদে বাধা আর মানহীনতার জন্য দায়ী ব্যক্তিবর্গ , যারা শিক্ষাকে পণ্য বানিয়ে বাংলাদেশের সমাজ সভ্যতাকে দূষিত করছে বা করতে চাচ্ছে তাদের প্রতি ধিক্কার এবং ঘৃণার বলয়।
আমিও সেখানে গিয়ে বলয়ের পরিধি হলাম।আমার দুই হাতের মধ্যে দুইজন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর হাত।শক্ত করে ধরে আছি।
গত প্রায় ৫ বছরেরও বেশি সময়কাল ধরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আমি।ছোট ভাই,বড় ভাই আরো কত রকম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে হাত মিলিয়েছি;আমি কখনোই পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতের মধ্যে কোন পার্থক্য খুঁজে পাইনি।
আজও পেলামনা!প্রাইভেট,পাবলিক বা জাতীয় বলে কোন বৈষম্যে আমি বিশ্বাস করিনি কখনো।শুধু মনে হয় উচ্চশিক্ষা গ্রহনে আমরা সকলেই একটা পথে নেমেছি।সেখানে যদি কোন উচ্চশিক্ষা গ্রহনের প্রতিষ্ঠান আমার পথের সাথীকে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে ব্যর্থ হয়,যদি সরকার আমার পথের সাথীদের চলার পথকে বন্ধুর করে তোলে তবে তা মসৃণ করতে পথের সকল পথিককেই এক হয়ে কাজ করতে হবে।
কারন পথের শেষে অপেক্ষা করছে আমাদের বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সমাজ;
সেখানে পাবলিক,প্রাইভেট বা জাতীয় বলে কোন শব্দ নেই।
যারা পাবলিক,প্রাইভেট,জাতীয় বলে শ্রেণীবিভাগ করে তারা আসলে কোন ফিলোসফিকে ফলো করে আমার বোধগম্য নয়।
আমার ধারনা তারা কোন ফিলোসফিই ধারণ করেনা।শুধু শ্রেণীবিভাগ আর বৈষম্য পর্যন্তই করতে পারে।
আমাদের একথা মানতেই হবে,
যখনই উচ্চশিক্ষা গ্রহনের পথে এসে শিক্ষার্থীর ট্যাগ বুকে নিয়েছি তখনি নিজেদের অজান্তেই আমাদের পিঠে এসেছে আরেক গুরুদায়িত্ব;
তা হলো, বাংলাদেশের সমাজ এবং প্রজন্মকে শিক্ষাবান্ধব এবং শিক্ষার পথকে মসৃণ করার দায়িত্ব।
এ দায় প্রাইভেট,পাবলিক,জাতীয় সকল শিক্ষার্থীর দায়।
এখানে কোন বৈষম্য নেই,পার্থক্য নেই,বিভক্তি নেই!!
সকলে এক পথের পথিক।
আরও……
নারী-পুরুষ বিশ্লেষণ;কিছু মতামত।
অনেকে নারীদের বলেন অবলা!
হয়তো হতেও পারে।
কিন্তু নারীর মাথায় বুদ্ধি কম,এটার সাথে আমি একমত হতে পারিনা!
নারীর বুদ্ধি আছে,অনেকক্ষেত্রে পুরুষের চেয়েও কয়েকগুণ!
তবে তারসাথে তাদের থাকে লাগামহীন আবেগ!
অনেকসময়ই তারা আবেগের উত্তাপে বুদ্ধি গলিয়ে জল করে ফেলে,সেই জলে নিজেরাই হাবুডুবু খায়!কেউ মরে কেউ বাঁচে।
ওদিকে মাঝির ভূমিকায় থাকে পুরুষ!
অনেক বধু’ই স্বামী বেচারাকে গাধা বলেন কেউ বলেন অমানুষ!
আমার মতে পুরুষেরও বুদ্ধি অতটা কম থাকেনা আবার অতটা অমানুষও নয়!
কিন্তু পুরুষের ক্রোধ, মাথার উত্তাপ ও বাহুর লাগামহীন ব্যবহারগুলো অনেকসময়ই ভয়ঙ্কর হয়!
মাথার উত্তাপে বুদ্ধির বৈঠা গলে যায়,দাঁড়বিহীন নায়ে অনেকসময় শুরু হয় ক্রোধের ঝড়!তখন মানুষটির পুর্বে যোগ হয় ‘অ’।
এই ঝড় থামাতে পারে নারীর বুদ্ধিদীপ্ত ভালোবাসা এবং পরিমিত উষ্ণ আবেগ;
পুরুষের সরল ভালবাসা এবং পেশীর নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার।
পুরুষের হৃষ্টপুষ্ট বাহু ভাঙা নাও মেরামত করে এগিয়ে নিতে পারে বহুদুর!
জীবনের জলাধারে যেমন ডুবে মরা যায় তেমনি নাও ভাসিয়ে জোৎস্না উপভোগ’ও করা যায়।
প্রয়োজন শুধু শক্তির ইতিবাচক ও পরিমিত ব্যবহার।
ক্ষোভানল
Valueless O Constant
হাতে তলোয়ার,বুকে স্বাধীনতার ধ্বজা,
মনভরা হিংসার আগুন!!
তোমার কাঁধে ওকিসের বস্তা?
আকার নেই,অবয়ব নেই,শুধু চীৎকার শুনি!!
কি ওগুলি! বস্তাবন্দি মানুষের আত্না!
এত রক্ত কেন?? এটাই বুঝি তোমার স্বাধীনতার বস্তা!
February 1 at 8:04pm
Valueless O Constant
তোমাদের হাতে ক্ষমতার মেশিনগান,স্বাধীনতার তলোয়ার,গণতন্ত্রের পেট্রোলবোমা!!!!
February 1 at 3:15pm
Valueless O Constant
দিন পেকে হলুদ হয়,
অযুত নিযুত দিন আসে,
পেকে টসটস!
পোকা খেয়ে নীল হয়,
পঁচে হয় কালো,
দিনগুলো অবশেষে মিশকালো রাত!
February 1 at 2:54am
বস্তাবন্দী স্বাধীনতা
হাতে তলোয়ার,বুকে স্বাধীনতার ধ্বজা,
মনের ভিতর হিংসার আগুন!!
তোমার কাঁধে ও কিসের বস্তা?
আকার নেই,অবয়ব নেই,শুধু চীৎকার শুনি!!
কি ওগুলি! বস্তাবন্দি মানুষের আত্না!
এত রক্ত কেন??
এটা বুঝি তোমার স্বাধীনতার বস্তা!